প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আজ আপনার নিম্নোক্ত মাসআলাটি পড়লাম। (প্রশ্ন : আসসলামু আলাইকুম। মাগরিবের নামাযের প্রথম রাকাআতে ইমামতি করার সময় ছানা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ এর পর সূরা ফাতেহা প্রায় শেষ পর্যন্ত পড়ার পর মনে হলো যে, কিরাআত উচ্চস্বরে পড়তে হবে । তখন আবার পূনরায় উচ্চস্বরে সূরা ফাতেহা পড়লাম। এর পর সিজদায়ে সাহুর মাধ্যমে নামায শেষ করি। ১। এভাবে নামায পড়ায় নামায হয়েছে কি? ২। ভবিষ্যতে এরকম হলে কি করবো? ৩। ভুলে কতটুকু সুরা ফাতেহা নিরবে পাঠ করলে মাফ যোগ্য এবং সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না? ৪। এর সাথে সংযুক্ত আরো কিছু থাকলে যা আমি হয়তো প্রশ্ন করতে পারি নাই জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ তাআলা আপনার কষ্টের উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন। উত্তর : ওয়া আলাইকুমুস সালাম (১+২+৩+৪) হ্যাঁ, হয়েছে। এক্ষেত্রে করনীয় হল যেখান থেকে স্মরণ হবে সেখান থেকে উচ্চস্বরে তিলাওয়াত শুরু করবেন। পিছনের অংশ তিলাওয়াত করতে হবে না। যদি উচ্চস্বরে তিলাওয়াতের সময় নিম্নস্বরে বা নিম্নস্বরে তিলাওয়াতের সময় উচ্চস্বরে তিন আয়াত বা তার বেশী পরিমান ভুলে তিলাওয়াত হয়ে যায় তবে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। – রদ্দুল মুহতার ২/৮১,৮২; হালবিয়ে কাবীর, পৃষ্ঠা ৪৫৭, ৬১৮; আল বাহরুর রায়েক ২/১৭০।) হুজুর এখন আমার প্রশ্ন যদি এক দু্ই আয়াত বা তার কিছু কম পড়ার পর মুক্তাদী তাকবীর দিয়ে সতর্ক করে এবং ইমাম সতর্ক হয় তাহলে কি সিজদায়ে সাহু দিতে হবে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
মূল মাসআলা হল, উচ্চস্বরে তিলাওয়াতের সময় নিম্নস্বরে বা নিম্নস্বরে তিলাওয়াতের সময় উচ্চস্বরে ছোট তিন আয়াত বা (ছোট তিন আয়াতের সমান) বড় এক আয়াত (যা দ্বারা নামায হয়ে যায়) অথবা তার বেশী পরিমান ভুলে তিলাওয়াত হয়ে যায় তবে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। এর কম হলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।– রদ্দুল মুহতার ২/৮১,৮২; হালবিয়ে কাবীর, পৃষ্ঠা ৪৫৭, ৬১৮; আল বাহরুর রায়েক ২/১৭০।)

Loading