প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হযরত,  আমি গত বছর বার কাউন্সিলে সনদ পরীক্ষা দেবার জন্য ইন্টিমেশন (প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) জমা দেই। এর মধ্যে একটা অংশ আছে যেখানে সিনিয়র ও জুনিয়র অ্যাডভোকেট উভয়ের মধ্যে চুক্তি করতে হয়। সবই মোটামুটি ঠিক ছিল, কিন্তু সমস্যা হলো চুক্তির সময় নিয়ে। চুক্তির করার যে একটা সময় থাকে তা আমি জানতাম না, এর আগে এভাবে করিনি। যাই হোক, যেদিন আমি কাগজপত্র জমা দিতে গেলাম সেদিন জমা দেবার পর অফিস কর্মকর্তা বললেন যে চুক্তির সময় তো শেষ,এটা দিয়ে আর কাজ হবে না। আমি তখন কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। কারণ তখন আবার নতুনভাবে চুক্তি করে জমা দেয়ার মতো সময় হাতে ছিল না। আমি যখন কাগজপত্র গুছিয়ে বাসায় আসার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম ঠিক তখনই ঐ কর্মকর্তা আমার কাছে এসে বললেন যে ৩০০ টাকা হবে, তবে চুক্তির সময় একটু আগে পিছে করে ঠিক করে জমা দেয়া যাবে। ইতস্ততভাবে আমি বললাম- জি হবে। তিনি তখন আমার কাজটা করে দিলেন। ঘুষ দেয়া-নেয়া যে ইসলামে হারাম তা জানা সত্বেও কাজটা করতে হলো এজন্য যে, বারের পরীক্ষা আমি হয়তো এবার দিতে পারতাম না। উল্লেখ্য,বার কাউন্সিলে কাগজপত্র জমা দিয়ে আমারা যেটা পাই সেটা হলো রেজিস্ট্রেশন। এমতাবস্থায় হযরতের কাছে আমার প্রশ্ন হলো- উপরোল্লিখিত ঘটনার মাধ্যমে আমি যে রেজিঃ পেয়েছি এই রেজিঃ-এর মাধ্যমে যদি অ্যাডভোকেট সনদ পেয়ে যাই এবং  অ্যাডভোকেট হবার পর যে অর্থ উপার্জন করবো তা কি হালাল হবে? জাযাকাল্লাহ খয়রন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

আপনি উক্ত কাজের যোগ্য হলে এবং সঠিকভাবে সেবা দিলে উপার্জন তো হালাল হবে কিন্তু ঘুষ দেওয়ার গুনাহ হবে। আল্লাহ তাআলার নিকট খাঁটিভাবে তাওবা করে নিবেন।

উল্লেখ্য যে, ওকালতির পেশায় বেশ কিছু জায়েয নাজায়েয হুকুম আহকাম রয়েছে। সব কেস নেওয়া জায়েয নয়। উকিলগণ সাধারণত সত্য মিথ্যা সব ধরনের কেসই লড়ে থাকে। তাই কোন মুহাক্কিক মুফতী সাহেবের নিকট থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৩৫৮২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২৩১৩

Loading