প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ক) বাহিরে থাকা অবস্থায় ফজরের আগে স্বপ্নদোষ হয়। পরনের কাপড় ছাড়া আর কোন কাপড় নাই। এমতাবস্থায় বাসায় যেতে যে সময় লাগবে তাতে ফজরের ওয়াক্ত পাবো না, সেক্ষেত্রে কি করবো ? ১)ফরজ গোসল অবস্থায় নামায আদায় করবো ? ২) বাসায় গিয়ে গোসল করে ফজরের নামায ক্বাযা আদায় করবো ? খ) মাঝে মধ্যে আমার সাথে পরিচিত লোক আসলে আমি তাকে নামাযের জন্য মসজিদে নিতে চাইলে সে বলে- সে পেশাব করে পানি নেয় নাই, তাই শরীর ও কাপড় নাপাক। তাই নামায পড়বে না,কাল থেকে পড়বে। আগামীকাল ছাড়া তার পোষাক ও শরীর পাক করার মত পরিবেশও নাই। এক ব্যক্তি বললো এমন অবস্থায়, উযূ করে নামায পড়ে নেওয়াই উত্তম, যেহেতু একদিনের নামায কাযা হয়ে যাবে। এই লোক কি ঠিক বললো ? ঐ অবস্থায় নামায পড়া যাবে ?

উত্তর :

তানকীহ (প্রশ্ন স্পষ্টকরন)– ওয়া আলাইকুমুস সালাম
আপনি ঐ সময় কোথায় ছিলেন? গোসলের সুযোগ ছিল কি? এটা জানার পরে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে ইংশাআল্লাহ।
তানকীহ এর উত্তরঃ অফিসে ছিলাম,এখানে গোসলের কোন ব্যবস্থাই নেই।

মূল উত্তরঃ (ক) অফিসে থাকলে টয়লেটে গোসলের সুযোগ থাকার কথা। এক্ষেত্রে আলাদা গামছা বা লুঙ্গি থাকতে হবে এটা জরুরী নয়। বা কেউ দেখলে লজ্জা পেতে হবে এটাও অগ্রহণযোগ্য। বরং টয়লেটে কাপড় খুলে ফরজ গোসল সেরে নাপাকীর স্থান ধুয়ে নামায পড়ে নিবে। অথবা গোসল সেরে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা যায় এমন কোন পাক গামছা বা কোন কাপড় পরে নামায আদায় করে নিবে। আর যদি গোসল কোনভাবেই সম্ভব না হয় তবে শরীরের নাপাকী ধৌত করে তায়াম্মুম করে নিবে। অতঃপর যদি নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা যায় এমন কোন গামছা, চাদর বা কোন কাপড় ইত্যাদি পাওয়া যায় তবে তা পরিধান করে নামায পড়ে নিবে। আর যদি এমন কোন কাপড় পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে ঐ কাপড় পরিধান করেই নামায পড়ে নিবে। -রদ্দুল মুহতার ২/৮৭(যাকারিয়া); বাদেয়েউস সানায়ে ১/৩০৭; হিদায়া ১/১৩৭।

(খ) ক এর উত্তর দ্বারাই এই প্রশ্নের সমাধান হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া নাপাকি কম বেশী যা-ই লাগুক না কেন এমতাবস্থায় টয়লেটে বা গোসলখানায় গিয়ে লজ্জাস্থান ও তার আশপাশের কিছু অংশ এবং লজ্জাস্থানের সামনের কিছু অংশের কাপড় ধুয়ে নামায পড়াও কঠিন কিছু নয়। সারকথা এমতাবস্থায় (যখন ওয়াক্তের মধ্যে শরীর ও কাপড় পাক করার পরিবেশ না থাকে) তাকে দিয়ে সর্বাবস্থায় নামায পড়িয়ে নিবে। তা না হলে সে তো নামায মোটেই পড়বে না।-প্রাগুক্ত।

Loading