প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১. স্বামীর আয় যদি হারাম হয় তবে তা স্ত্রীর জন্যও কি হারাম হবে? ২.কোন দ্বীনদার পর্দানশীল মেয়েকে বেনামাযী ছেলের সাথে, পর্দাবিহীন পরিবারে বিয়ে দিতে চাইলে উক্ত মেয়ের করণীয় কি? উত্তর জানালে উপকৃত হতাম।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১। যদি হুবহু হারাম মাল না হয় বরং তার বিনিময় হয় তবে স্ত্রীর জন্য অবকাশ রয়েছে। যেমন কেউ তার স্বামীকে কোন খাবার ঘুষ দিল অথবা তার স্বামী কোন খাবার জবরদস্তি কারো নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এল। এখন স্ত্রীর জন্য এই খাবার জেনেশুনে খাওয়া জায়েয হবে না। তবে স্বামী যদি খাবারের পরিবর্তে টাকা পেত বা অন্য কোন পদ্ধতিতে তার নিকট হারাম সম্পদ আসে আর সে তা দ্বারা কোন খাবার, কাপড় বা অন্য কিছু ক্রয় করে তবে তা ব্যবহার করা স্ত্রীর জন্য জায়েয হবে। তবে সর্বাবস্থায় গুনাহ স্বামীর হবে।

তবে এক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীকে খুব ভালো করে বুঝাবে। আর তাকে বলবে আমি প্রয়োজন হলে না খেয়ে থাকব বা কামাই করে খাব কিন্তু আপনার হারাম উপার্জন খাব না।–রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৬; ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ১৮/৪১২

২। খুব হেকমতের সাথে তার অভিভাবকে বুঝাবে। বদদ্বীন ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার উভয় জাহানের ক্ষতি তাদেরকে বুঝাবে। অনেক সময় মেয়ে দ্বীনদার হলেও বদদ্বীন ছেলের সংস্পর্শে গিয়ে মেয়েও বদদ্বীন হয়ে যায়। তখন তো ছেলের সাথে মেয়েও চিরস্থায়ী ক্ষতিতে পতিত হয়। কাজেই মেয়ে উক্ত বিবাহে সম্মতি না দেওয়ার চেষ্টা করে যাবে।

 

Loading