প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, হযরত আমরা অনেকেই জানি যে, তিন সময়ে নামায পড়া নিষিদ্ধ। শয়তান এ সময়গুলোতে নাকি দু’পা ছড়িয়ে পূজা করে এবং তাই উক্ত সময় সমূহে নামায আদায় করলে নাকি শিরকী গুনাহ হয়? হযরতের কাছে আমার প্রশ্ন হলো-১। উপরোল্লিখিত বর্ণনার কথা কি সঠিক আছে? ২। কেউ যদি উপরোল্লিখিত কথা জেনেও সূর্যোদয়ের দুই-এক মিনিট পূর্বে নামায আদায় করে তবে কি শিরকী গুনাহ হবে নাকি আল্লাহর সাথে শিরক করা হবে? জাযাকাল্লাহ খয়রন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। হাদীস শরীফে আছে, সূর্য পূজাকারীরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এই দুই সময় সূর্যের ইবাদাত (পুজা সিজদাহ ইত্যাদি) করে। আর উক্ত দুই সময়ে শয়তান সূর্যের নিকট মাথা এগিয়ে দেয়। সে এটা ভেবে আনন্দিত হয় যে, মানুষ তাকে সিজদাহ করছে। কাজেই এই দুই সময়ে নামায পড়লে সূর্য পূজাকারীদের সাথে সাদৃশ্যতা হয় এবং শয়তানকে সিজদাহ করার নামান্তর হওয়ায় শয়তান খুশি হয়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুই সময়ে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন।
আর ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় নামায পড়তে নিষেধ করেছেন কারন তখন জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। হয়তোবা উত্তপ্ত করার কারন এটা হতে পারে, তখন শয়তান সূর্যের কাছে যায় এবং সূর্য পূজাকারীদের সূর্যকে সিজদাহ করতে উদ্বুদ্ধ করে যাতে তারা তারও সিজদাহকারী হয়ে যায়।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯৬৭; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৩২৭৩; বাজলুল মাজহুদ ৭/১৫-১৭
২। না, সূর্যোদয় শুরু হওয়ার পূর্বে ফজরের নামায শেষ করে ফেললে তা নিষিদ্ধ হবে না। তবে সময় থাকা সত্ত্বেও সূর্যোদয়ের অপেক্ষা করে সূর্যোদয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে নামায পড়া, এ থেকে হাদীস শরীফে নিষেধ করা হয়েছে। এটাকে হাদীস শরীফে মুনাফিকের নামায বলা হয়েছে। তবে কখনো কোন ওযরের কারনে নামায পড়তে দেরি হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে সূর্যোদয়ের পূর্বেই নামায শেষ করে ফেললে সমস্যা নেই।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৪৪৩

Loading