প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম মর্টগেজ ফ্ল্যাট নেয়া কি জায়েয ? চুক্তিটি নিম্নরুপ- 1. ফ্ল্যাটের মালিক পাঁচ লক্ষ টাকা এ্যাডভান্স নিবেন এবং ফ্ল্যাটের মুল মাসিক ভাড়া ১০,০০০/- টাকা, কিন্তু এ্যাডভান্স বেশী নেয়ার কারণে তিনি মাসিক ভাড়া ২,০০০/- টাকা করে নিবেন। যতদিন টাকা ফেরত দিতে না পারেন ততদিন পর্যন্ত এভাবে চলবে। 2. অথবা ৫ বছর পর উক্ত পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত দিবেন। (এভাবে জায়েয না হলে কীভাবে জায়েয ভাবে করা যেতে পারে ?)

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
আপনার প্রশ্নে ভাড়া এ্যাডভান্স থেকে কর্তন হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। যদি এ্যাডভান্স ফেরতযোগ্য হয় তবে তা নেওয়ার কারনে ভাড়া কমিয়ে দিলে তা সূদী কারবার হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে সহীহ পদ্ধতি হল (১) হয়তোবা আপনারা প্রয়োজন অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদী অগ্রিম ইজারা বা ভাড়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন। যেমন ধরুন, ফ্ল্যাটের ভাড়া যদি ১০০০০ টাকা হয় তবে আপনারা ৫০ মাসের (অথবা উভয়ের সম্মতিতে নির্দিষ্ট কোন মেয়াদে) ভাড়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন। যা থেকে প্রতি মাসে ১০০০০ টাকা করা ভাড়া কর্তন হতে থাকবে। এক্ষেত্রে ভাড়া অগ্রিম দেওয়ার কারনে যদি মূল ভাড়া থেকে কমও ধরা হয় তবে কোন সমস্যা নেই। (২) অথবা আপনি ফ্ল্যাটের মালিকের সাথে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদের ভাড়ার চুক্তি করে অগ্রিম কিছু টাকা দিবেন। যা থেকে আংশিক ভাড়া কর্তন হতে থাকবে। অবশিষ্ট ভাড়া নগদ প্রতি মাসে প্রদান করে যাবেন। যেমন ধরুন, ফ্ল্যাটের ভাড়া যদি ১০০০০ টাকা হয় তবে আপনারা দশ বছরের ভাড়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন। ফ্ল্যাটের মালিককে ২৪০০০০ টাকা অগ্রিম প্রদান করবেন, যা প্রতি মাসে ২০০০ করে ভাড়া বাবদ কর্তন হতে থাকবে। আর বাকি ৮০০০ টাকা প্রতি মাসে নগদ দিয়ে যাবেন। তবে উপরোক্ত দুই সূরতেই শরয়ী কোন ওযর ব্যতীত কেউ ইজারার চুক্তি বাতিল করতে পারবে না। (৩) অথবা সমাজের প্রচলন অনুযায়ী ন্যায্য ভাড়া দিয়ে উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমান এ্যাডভান্স ফ্ল্যাটের মালিককে প্রদান করবেন। অর্থাৎ এ্যাডভান্সের কারনে ভাড়া যেন প্রচলনের চেয়ে কম না হয়। এ্যাডভান্স দেওয়ার পর ভাড়া প্রচলনের চেয়ে কম হলে তা সূদী কারবার হওয়ায় নাজেয়েয হবে।– সুনানে বাইহাকী, হাদীস নং ১১২৫২; শরহু মাআনিল আছার ৫/৮১ (শামেলা); আল বাহরুর রায়েক ৬/৩৪৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/১৭৫; ফিকহী মাকালাত ১/২১৮;

Loading