প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম একটা কিতাবে দেখলাম তাফসীরে রুহুল মাআনীর reference দিয়ে বলা আছে হাদীসে যেভাবে দরুদ পড়তে বলা আছে সেভাবে না পড়লেও চলবে। কোনো আলেম যদি আরবীতে শুদ্ধভাবে প্রশংসা করে তবে সেটি দরুদ হিসেবে গন্য হবে। তাহলে দুরূদে ফাতিহ, দরূদে লাখী, দরূদে নারিয়া, দরূদে তুনাজ্জিনা কি পড়া ভালো হবে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
হ্যাঁ, দুরূদ ও সালাম সম্বলিত বাক্য দ্বারাই দুরূদ হয়ে যায়। তবে হাদীস শরীফে বর্ণিত দুরূদ দ্বারা যে ছাওয়াব বেশি হয় এবং তা অধিক বরকতময় এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই হাদীস শরীফে বর্ণিত দুরূদ শরীফের উপরই আমল করা উচিত।
প্রশ্নে উল্লেখিত দুরূদ্গুলোর কোনটিই কুরআন বা হাদীসে বর্ণিত নেই। এগুলোর সবই মানব রচিত। দুরূদে ফাতিহ, দরূদে নারিয়া, দরূদে তুনাজ্জিনা এগুলোতে আপত্তিকর তেমন কিছু নেই। আর দরূদে লাখী সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। এসব মানব রচিত কিছু কিছু দুরূদ তো এমন রয়েছে যেগুলোর মধ্যে শিরকী কথাবার্তা রয়েছে। যেমন দুরূদে তাজ ইত্তাদি।
সারকথা, প্রশ্নে উল্লেখিত দুরূদ শরীফগুলোর চেয়ে হাদীসে বর্ণিত যে কোন দুরূদ শরীফের উপর আমল করা উত্তম হবে।

Loading