প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমার স্ত্রী গত কয়েকদিন আগে আমাকে দুটি প্রশ্ন আপনাকে করার জন্য বলেছেন। তাই আমি প্রশ্নটি আমার স্ত্রীর পক্ষ থেকে জানার জন্য করছি। প্রশ্ন নং ১। একজন পুরুষের জন্য সর্ব দিক থেকে অর্থাৎ ভরণ পোষণ, মহব্বত, ভালোবাসা, দেখ ভাল ইত্যাদি ক্ষেত্রে আব্বা-আম্মা আগে নাকি স্ত্রী-সন্তান আগে? প্রশ্ন নং ২। যদি আমার স্ত্রী মাথার উপরে তালু বরাবর খোপা বাধে তবে এতে কোন গুনাহ হবে কি? আমার স্ত্রী নাকি কয়েকজন আলেমের কাছে শুনেছেন মাথার অনেক উপরে খোপা বাধলে গুনাহ হয়।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১। আসলে প্রশ্নটা অনেকটা এমন চোখ বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি কান? চোখের সাথে কানের কিন্তু তুলনা হয় না। কেননা প্রত্যেকেই তাদের স্বস্থানে গুরুত্বপূর্ণ। একটি দ্বারা অন্যটির কাজ হয় না। আর তুলনা সাধারণত এক জাতীয় জিনিসের মধ্যে হয়। যেমন দুই চোখের মধ্যে কোনটি ভাল? তাই পিতামাতা ও স্ত্রী-সন্তানাদি প্রত্যেকেরই হক রয়েছে। এমন নয় যে একজনকে ফেলে অন্যজনকে দেখতে হবে। বরং সকলকে নিয়েই চলতে হবে। যেমনিভাবে হাদীস শরীফে রয়েছে পিতামাতার সন্তুষ্টিতেই জান্নাত, তেমনিভাবে রয়েছে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। অনুরুপভাবে সন্তানের হকের ব্যাপারেও হাদীস শরীফে খুব তাকীদ এসেছে। তাই এখানে আগে পরের কোন বিষয় নেই। প্রত্যেকের হক একইসাথে আদায় করে যেতে হবে। একজনের হক আদায় করতে গিয়ে অন্যজনের হক নষ্ট করা যাবে না। আর মহব্বত তো একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম। স্ত্রীর প্রতি মহব্বত একরকম, পিতামাতার প্রতি মহব্বত ভিন্ন রকম। এমন তো নয় যে, একজনকে মহব্বত করতে গেলে অন্যজনের ঘাটতি হয়ে যাবে।

আর রইল খোরপোষের প্রসঙ্গ, তো স্ত্রী ও নাবালেগ সন্তানের খোরপোষ পুরুষের উপর সর্বাবস্থায় জরুরী। বালেগ ছেলের খোরপোষ পিতার উপর জরুরী নয়। আর পিতামাতা যদি অসহায় ও গরীব হয় তবে সেক্ষেত্রে তাদের ভরণপোষণও সন্তানের উপর জরুরী। উপরের আলোচনা থেকে আপনি হয়তোবা পুরো বিষয়টি বুঝে ফেলেছেন।

২। হ্যাঁ, এটা নিষেধ।

Loading