প্রশ্ন : আসসালা-মু আ’লাইকুম।(১) শরীআ’তে দ্বিতীয় বিয়ে করার হুকুম কী রয়েছে? মেহেরবানি করে একটু বিস্তারিত জানালে ভালো হয়। তবে এ ক্ষেত্রে আমার বর্তমান স্ত্রীর সাথে সংসার করতে কোন অসুবিধা নাই এবং বর্তমান স্ত্রী, সন্তানদের যাবতীয় ভরন-পোষণ জারি থাকবে সুনিশ্চিত ইনশা-আল্ল-হ্। শরীআ’ত এবং মুসলিম বিবাহ আইন অনুযায়ী সমাধান আশা করছি।(২) আমাদের সমাজে দ্বিতীয় বিয়ে (ছেলে করুক বা, মেয়ে করুক) বিশেষভাবে ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করাকে কেমন যেন নির্লজ্জতা, অসম্মান, হেয়, অপরাধের দৃষ্টিতে দেখা হয়। কারণ কী?(৩) কোন কুমারী মেয়ে যদি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কোন দুর্ঘটনার (শরীআ’ত অনুযায়ী কোন পাপ কাজের জন্য নহে) জন্য অবশিষ্ট জীবনে বিয়ে না করে কাটাতে চায়, নিজের জীবনের সমস্ত সুখকে বিসর্জন দিতে চায় আর এমন মেয়েকে যদি সুন্দরভাবে বাঁচার ইচ্ছা জাগানো হয় এবং যদি তাঁকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করা হয় তাহলে এখানে ‘নির্লজ্জতা’র কী প্রকাশ পেল?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

কোন পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রীর ভরন-পোষণে সক্ষম হয় এবং তাদের মাঝে সমতা রক্ষা করতে পারে তবে তার জন্য চারটি পর্যন্ত বিবাহের অনুমতি রয়েছে। আর যদি উপরের কোনটিতে অক্ষম হয় তবে একাধিক বিবাহ জায়েয নেই। এটি শরীআতের হুকুম। মুসলিম বিবাহ আইন সম্পর্কে আমি অবগত নই।এ ব্যাপারে উকিলগন ভাল বলতে পারবেন।- সূরা নিসা, আয়াত ৩;১৫১২৩; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ১১৪১; সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ৩৯৫৩।

২।শরঈ ইলম ও দ্বীনী মূল্যবোধ না থাকাই এর কারন।

৩।উপরে উল্লেখিত সক্ষমতা পুরুষের থেকে থাকলে শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে তো নির্লজ্জতা’র কোন কারন নেই।

Loading