প্রশ্ন : আমার জন্ম ১৮-১১-১৯৯৮ আমি ছোটবেলা থেকেই আল্লাহ তাআলার তৌফীকে নামায পড়ি। যতটুকূ মনে পড়ে ক্লাস ৮ (২০১২) থেকে ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ি, রোযা রাখি। এর পর থেকে আমি হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে (ক্লাস ৯)(২০১৩) নামায পড়তে পারিনি অনেক দিন। এই ঘটনা ছাড়া অন্য কোনো ক্বাযা নামাযের কথা মনে নেই। ১। আমার কবে থেকে নামায ফরজ হয়েছে? ২.অনেক সময় সফরে গিয়েছি কিন্তু মাসআলা না জানার কারনে একাকী পুরো নামায আদায় করেছি। কসর নামায পড়িনি কিন্তু আমি মুসাফির ছিলাম। সে নামাযগুলো কি আবার ক্বাযা পড়তে হবে? ৩। সূরাগুলিও সহীহ শুদ্ধ এতটা ছিল না। কিন্তু একাকী নামায খুব কম পড়েছি বলে মনে হয়। কিন্তু জামাআতেও দুই এক রাকাআত ছুটে গেলে নিজের পড়তে হয়েছে। তখন তো নিজেরই সূরা পড়তে হয়েছে। সেই নামাযগুলি কি আবার ক্বাযা পড়তে হবে? নাকি আদায় হয়ে গেছে?

উত্তর :

১। যেদিন থেকে আপনি বালেগ হয়েছেন সেদিন থেকে নামায ফরজ হয়েছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বালেগ হওয়ার আলামত তিনটি-

ক। স্বপ্নদোষ হওয়া
খ। বীর্যপাত হওয়া
গ। গর্ভ ধারন করাতে সক্ষম হওয়া

আর আপনার বালেগ হওয়ার কোন আলামত প্রকাশ না পেলে চান্দ্র বছর অনুযায়ী পনের বছর পূরা হলে আপনি বালেগ গণ্য হবেন।

উল্লেখ্য যে, ছেলেরা সাধারণত বার বছরের বালেগ হয় না।

-তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২৭৫,২৭৬; আল বাহরুর রায়েক ৮/১৫৩

২। আমার সাইটে প্রদেয় নিম্নোক্ত মাসআলাটিতে আপনি উত্তর পেয়ে যাবেন-

মাসআলাঃ মুসাফির ভুলে বা ইচ্ছায় (ফরজ নামায ) চার রাকাআত পড়ে ফেললে যদি সে ১ম বৈঠক করে থাকে তবে তার ফরজ আদায় হয়ে যাবে। প্রথম দুই রাকাআত ফরজ ও পরের দুই রাকাআত নফল গন্য হবে। এক্ষেত্রে তার জন্য সিজদায়ে সাহু করা ওয়াজিব। যদি সিজদায় সাহু না করে থাকে তবে উক্ত নামায পূনরায় পড়া ওয়াজিব। আর যদি ১ম বৈঠকে না বসে থাকে তবে পূরো নামায নফল গন্য হবে। ফরজ নামায পূনোরায় পড়তে হবে। উল্লেখ্য যে, ইচ্ছাকৃত চার রাকাআত নামায পড়লে সে গোনাহগার হবে।- আদ্দুরুরল মুখতার ২/১২৩-১৩০; আলবাহরুর রায়েক ২/২২৯; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫১১; ফাতাওয়া দারুল উলূম দেওবন্দ ৪/৩১৫।

৩। না, পুনরায় পড়তে হবে না।

 

Loading