প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম, আমার প্রশ্ন দুটি- ১। ফজরের নামায কাযা হলে তা যদি যোহরের পূর্বে বা পরে পড়তে ভুলে যায় সেটা যদি আসরের সময় মনে পড়ে, তবে কি তা ঐ সময় পড়া যাবে? ২। কাযা নামায পড়ার নিয়ম তথা কোন ধারাবাহিকতা আছে কি? ৩। কোন কারণে নামায পড়তে দেরি হলে সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের পাঁচ-ছয় মিনিট বা দুই-তিন মিনিট পূর্বে পড়লে তা কি শুদ্ধ বা কবূল হবে? জাযাকাল্লাহ্ খায়রান।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। হ্যাঁ, আসরের ওয়াক্তে (চাই তা আসরের নামাযের পূর্বে হোক বা পরে) ফজরের ক্বাযা নামায আদায় করা যাবে।–আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৭৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/২৩২

২। হ্যাঁ, আছে। ছয় ওয়াক্তের কম নামায ক্বাযা হলে ওয়াক্তিয়া নামাযের পূর্বে ক্বাযা নামায তারতীব অনুযায়ী আদায় করা জরুরী। অর্থাৎ প্রথম যে নামায ক্বাযা হয়েছে তা প্রথমে আদায় করবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সবগুলো আদায় করবে। এই তারতীবে খেয়াল রাখা ওয়াজিব। তবে যখন ওয়াক্তিয়া নামাযের সময় এত সংকীর্ণ হয় যে ক্বাযা নামায পড়লে ওয়াক্ত চলে যাবে অথবা পাঁচ ওয়াক্তের বেশী নামায ক্বাযা হলে অথবা পূর্বের ক্বাযা নামাযের কথা ভুলে গেলে এই তারতীব রক্ষা করা জরুরী নয়। তখন ওয়াক্তিয়া নামায আগে পড়লে কোন সমস্যা হবে না।–আদ্দুররুল মুখতার ২/৬৫-৬৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১২১-১২৪

৩। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের পূর্বে যথাক্রমে মাগরিব ও ফজর নামায শেষ করলে তো নামায হয়েই যাবে। তবে ফজরের নামায শেষ হওয়ার পূর্বে সূর্যোদয় হয়ে গেলে তা সহীহ হবে না। পরবর্তীতে তা ক্বাযা করে নিতে হবে। তবে কোন দিনের আছরের নামায আদায় করতে করতে যদি সূর্যাস্ত হয়ে যায় তবে তা হয়ে যাবে।–আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৭০; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/২২৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৫২

Loading