প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১. পুরুষদের কি সোনা,রুপা ব্যবহার করা হারাম। অনেকেই বলে সমান্য সোনা ব্যবহার করা যাবে, যুক্তিঃ (কারন মারা গেলে যেন তা বিক্রয় তার কাফনের টাকা হয়)। ২.ধুমপান করা কি?হালাল না হারাম?অনেকে বলে মাকরূহ। মাকরূহ তো হালালের শ্রেনীর মধ্যে পড়ে।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১।পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যাবহার করা হারাম। আর রূপার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এক সিকি (৩.৩৮০ গ্রাম) পরিমান আংটির অনুমতি রয়েছে।এর বেশি হলে আংটির ক্ষেত্রেও জায়েয নেই। হাদীস শরীফে পুরুষদের জন্য এ দুটির ব্যাবহারে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আর উল্লেখিত যুক্তি ভিত্তিহীন। যারা স্বর্ণ-রৌপ্য ব্যাবহার না করে মারা যান তাদের কেউ কাফন ছাড়া দাফন হন কি? আর যুক্তিটি সঠিক হলে তো সাহাবায়ে কেরাম এমনটি করতেন।কিন্তু এর কোন নজীর নেই।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৫৮৬৮; সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং ৫১৬২; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৫৮-৩৬১; মাজমাউল আনহুর ৪/১৯৫।

২। বিড়ি-সিগারেটে যদি নাপাকী বা নেশা জাতীয় কোন জিনিস থাকে তবে তা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। আর যদি এমন না হ্য় তবে তা মাকরূহ। যদিও তা পাক জিনিস দ্বারা তৈরি হোক না কেন। কেননা পাক জিনিস দ্বারা তৈরি বস্তুও যদি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয় তবে তা নিষেধ বা মাকরূহ হয়ে যায়। যেমন মাটি পাক হওয়া সত্ত্বেও তা খাওয়া হারাম। কেননা এতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। অনুরূপভাবে ধূমপানের দ্বারাও শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। এরমধ্যে কতক তো মৃত্যু পর্যন্ত ঠেলে দেয়।যেমন ক্যান্সার, যক্ষ্মা ইত্যাদি।

তাছাড়া ডাক্তারদের অভিমত অনুসারে ধূমপায়ীদের যে ক্ষতি হয় তার ৩০ ভাগ ক্ষতি হয় পার্শ্ববর্তী অধূমপায়ীদের। আর এর দ্বারা মুখে, শরীরে এমনকি কাপড়ে এমন দুর্গন্ধ হয় যা অন্যের কষ্টের কারন হয়। অন্যকে কষ্ট দেওয়া হারাম এবং দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস সহকারে মসজিদে প্রবেশ করাও নিষেধ। তাছাড়া এর দ্বারা অর্থের অপব্যয় হয় যা শরীআতে নিষেধ।

এখানে মাকরূহ দ্বারা উদ্দেশ্য হল মাকরূহে তাহরীমী।যা ওয়াজিবের বিপরীত।মাকরূহে তাহরীমী হারামের আওতায় পড়ে।এটা করার দ্বারাও মানুষ ফাসেক হয়ে যায়।– সূরা ইসরা, আয়াত ২৬; সূরা আরাফ, আয়াত ১৫৭; সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৪৩৪৩; রদ্দুল মুহতার ৩/২০৮।

Loading