প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১।স্ত্রীকে অনেক বকা আর বুঝানোর পর যদি বলে “এইগুলোর পরিণতি তুমার সংসার দ্বিখন্ডিত হবে।তখন তুমি হ্যা কে না করতে পারবে না।খুব সাবধান এই বিষয়গুলো নিয়ে”। এইটা স্ত্রীকে সাবধান করার জন্য বলেছে।শর্ত যুক্ত তালাকের উদ্দেশ্য নয়।এটা বুঝাতে চেয়েছে হয়ত শেষ পরিণতি হিসেবে পরে গিয়ে সংসার নাও টিকতে পারে কিন্ত স্ত্রী যদ্দুর বুঝেছে শর্ত যুক্ত তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি ।সাবধান করেছে এখন আপাতত।একবার ও তালাকের কথা বা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে নি কারন স্বামীও চায় সংসার করতে । তাহলে এটা কি শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবে?২। ১নং কথাটা বলার পর আরো ১০ ১২ মিনিট কথা হওয়ার পর মেসেজে আর কি স্বামী যদি বলে “কোনদিন যদি আমার চোখে এমন কিছু পরে যা আমি আগে বারন করছিলাম তাহলে সেকেন্ড বার আর সুযোগ পাবে না।” এখানে তহ তালাক হয়ে যাবে বলে নি বা কোনায়া কোন শব্দ বলে নি যেটা দ্বারা শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবে।একবার ও তালাকের কথা বা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে নি কারন স্বামীও চায় সংসার করতে। ।তাহলে স্বামীর উক্ত কথা কি শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবে? স্ত্রীর মনে হচ্ছে স্বামী সাবধান করতেছে।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১+২। না, প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী উল্লেখিত কথাগুলো শর্তযুক্ত তালাকের মধ্যে পড়বে না। এবং এগুলোর দ্বারা কোন তালাক পতিত হবে না। তবে এ সমস্ত কথা বলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী। অন্যথায় পরবর্তীতে এ ধরনের কথা ভোগান্তির কারণ হয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৩/২৯৭; বাদায়েউস সানায়ে ৩/১৬৭; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৩/৭৫