প্রশ্ন : As a doctor, many pharmaceutical company visits us daily. They provide many gifts item and drug samples which are called “physician sample”and marked as “not for sale”. I refused to take gifts item as it is a bribe.However, drug samples are accepting as I provide these free drug samples to poor patient, relatives, employees who are working in my organization andsome times my family members use it if necessary. However, although I distribute them where possible, a great number of samples remain to me whichmost often expire the date. Hence I have decided to sell them to a market at a lowest price (50% of actual price). Is it halal to sell the physiciansamples and use the money for myself or donate? Kindly help me.

উত্তর :

আপনি যেহেতু বাংলা বুঝেন তাই অন্যান্যদের সুবিধার্থে বাংলায় উত্তর দেওয়া হল।

ঔষধ কোম্পানি কর্তৃক ডাক্তারদেরকে প্রদেয় গিফট সমূহ কয়েক প্রকার-
এক. ফিজিশিয়ান স্যাম্পল। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি ডাক্তারদেরকে তাদের ঔষধদের স্যাম্পল প্রদান করে থাকে। এগুলোর গায়েও “ফিজিশিয়ান স্যাম্পল” সিল দেওয়া থাকে। পাশাপাশি অনেকক্ষেত্রে এটাও লিখা থাকে বিক্রয়ের জন্য নয়। এটা স্বতঃসিদ্ধ যে এসকল স্যাম্পল প্রদানের উদ্দেশ্য হল, এগুলোর পরিচিতি এবং রোগীর উপর প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন। এ দৃষ্টিকোণ থেকে এগুলোর লেনদেনে শরয়ী কোন সমস্যা নেই। চিকিৎসকগণ এগুলো গ্রহন করবেন এবং রোগীদেরকে বিনামূল্যে এগুলো দিয়ে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। বিশেষ করে এক্ষেত্রে গরীবদেরকে প্রাধান্য দিলে তা যে একটি মহৎ কাজ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ চিকিৎসক এগুলো বিক্রি করে উপার্জন করেন। তাইতো অনেকক্ষেত্রে ফার্মেসিতে ঔষধ কিনতে গেলে তার গায়ে “ফিজিশিয়ান স্যাম্পল” সিল দেখা যায়। এর দ্বারা যেমনিভাবে কোম্পানির উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় তেমনিভাবে তা নিজের দায়িত্ব পালনে অন্যের থেকে উৎকোচ গ্রহন করারও শামিল। আসলে রোগীর শারীরিক অবস্থা সঠিকভাবে বিবেচনা করে কোন কোম্পানির কি ঔষধ রোগীর জন্য উপযুক্ত এবং উপকারি তা নির্ণয় করা এবং পেস্ক্রিপশনে লিখা ডাক্তারদের নিজস্ব পেশাগত দায়িত্বের অংশ বিশেষ। এর জন্য অন্যের থেকে বিনিময় বা উৎকোচ গ্রহন করা জায়েয নয়। কাজেই ফিজিশিয়ান স্যাম্পল হিসেবে প্রাপ্ত ওষুধ বিক্রি করে তা থেকে উপকৃত হওয়া বৈধ হবে না। বরং সেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পূর্বেই রোগীদের উপর তা প্রয়োগ করতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে এর প্রয়োগ নিজ আত্মীয়স্বজনের উপরেও হতে পারে।
বর্তমানে দেখা যায় বেশ কিছু আনাড়ি কোম্পানি একশ্রেণীর চিকিৎসককে মোটা অংকের কমিশন দিয়ে তাদের অনুপযুক্ত এবং নিম্নমানের ঔষধ লিখিয়ে নিচ্ছে। যার কারনে রোগীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সারকথা, এসকল স্যাম্পল চিকিৎসকগন গ্রহন করলে তা বিনামূল্যে রোগীদের উপর প্রয়োগ করবেন। তা বিক্রি করে টাকা নেওয়া জায়েয হবে না।
দুই. বিভিন্ন ষ্টেশনারী সামগ্রী। যেমন কলম, খাতা, প্যাড, পেন স্ট্যান্ড, স্লিপবক্স ইত্যাদি। এসব সামগ্রীর মধ্যে ঔষধ কোম্পানির বা তাদের উৎপাদিত ঔষধের ট্রেডমার্ক বা ট্রেডনেম ছাপানো থাকে। এগুলো প্রদানের উদ্দেশ্যই থাকে তাদের কোম্পানি বা কোম্পানির ঔষধসমূহের প্রচার প্রসার। আর ডাক্তারদের টেবিলে এগুলো থাকা বা তাদের কর্তৃক এগুলো ব্যবহার করার দ্বারা কোম্পানির উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে যায়। তাছাড়া এগুলো এমন কোন জিনিসও না যা বিক্রি করে অনেক টাকা অর্জন করা যায়। সে হিসেবে এগুলো নেওয়া ডাক্তারদের জন্য জায়েয।
তিন. নগদ অর্থ, দামি দামি গিফট, খাবারের বস্তু, মোবাইল রিচার্জ কার্ড ইত্যাদি। অনেক কোম্পানি তো তাদের ঔষধ লেখার জন্য রীতিমত ডাক্তারদের সাথে চুক্তি করে মাসিক অনারিয়াম দেয়। আবার অনেকের সাথে চুক্তিতে না গেলেও দামি দামি গিফট দেয়। এগুলোও গ্রহন করা জায়েয হবে না। কেননা এগুলোও বিনিময়হীন উৎকোচ।

Loading